এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাসে ও লরিতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনাপাহাড় এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতরা সবাই পথচারী ছিলেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, প্রথমে জোনাকি পরিবহনের বাসটিতে একটি লং ভিহিক্যাল ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিয়ে সড়কের এক পাশে দুই গাড়ির চালক ও হেলপারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। এমন সময় পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় একটি কার্ভাড ভ্যান।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০), দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২২) ও পূর্ব রায়পুর এলাকার আবুল কাশেম। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যসহ আরও চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যেভাবে ঘটলো মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনা : ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘একটি কনটেইনারবাহী লরি সড়কের বাম পাশ ধরে চলছিল। হঠাৎ করে সেটি সড়কের মাঝখানে চলে এসে। একই সময়ে দ্রুত গতিতে আসছিল জোনাকি পরিবহনের বাসটি। হঠাৎ টার্ন করায় লরিটির সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। যার কারণে বাসের গ্লাস ভেঙে যায়। তখন গাড়ি দুটি থামিয়ে চালক-হেলপাররা তর্ক করছিল। এমন সময় হাইওয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করে। আশপাশের অনেক মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়।
তখন পেছন থেকে একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান এসে জড়ো হওয়া মানুষের উপরে উঠিয়ে দেয়। উঠিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি লরির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে চাপায় পরে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া, হাইওয়ে পুলিশের এএসআই মোস্তফা কামালসহ পাঁচজন আহত হন। পরে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, সোনাপাহাড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে রাত সোয়া একটার দিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।