মুহাম্মদ সেলিম : ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ পদ্ধতিতে চলছে চট্টগ্রামের পুলিশ। অপরাধীদের মোবাইল কললিস্ট ও কথোপকথনের রেকর্ড সংগ্রহ করতে মহানগর ও জেলা পুলিশকে নির্ভর করতে হয় ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেলের (এলআইসি)। নেই নির্ভুলভাবে অপরাধীর অবস্থান শনাক্ত করার জিএসএম লোকেশন ফাইন্ডার প্রযুক্তি। ফলে অপরাধ দমন ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে লাগে দীর্ঘসূত্রতা। বাড়ছে ব্যয়, কমছে অপরাধ দমনে সফলতা।
অবশ্য সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, এলআইসির সদস্য হওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সিএমপি এলআইসির সদস্য হবে। সদস্য হওয়ার পর কাজের গতি বাড়বে। তখন আসামি গ্রেফতার ও অপরাধ দমন সহজ হবে।
সিএমপি ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্দেহভাজন অপরাধীদের মোবাইলে আড়িপাতা, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে অপরাধীদের কললিস্ট সংগ্রহ করার জন্য ইউনিটগুলোকে ল’ফুল এলআইসির সদস্য হতে হয়। পুলিশ সদর দফতর, র্যাব, ডিএমপি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এ সেলের সদস্য হওয়ায় তারা সরাসরি তা সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ এ সেলের সদস্য নয়। তাই তাদের এসব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য দ্বারস্থ হতে হয় এলআইসি সদস্য তৃতীয় কোনো ইউনিটের কাছে। সিএমপি ও জেলা পুলিশ মূলত সদর দফতরের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে। এভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। ফলে অপরাধী গ্রেফতারে পরিচালিত অভিযানগুলোতে সাফল্য আসে কম।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন অপরাধীদের নির্ভুলভাবে অবস্থান শনাক্ত করতে প্রয়োজন জিএসএম লোকেশন ফাইন্ডার নামের একটি যন্ত্রের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে জঙ্গিসহ ভয়ঙ্কর অপরাধীদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এ প্রযুক্তিটিও চট্টগ্রামের পুলিশের নেই। সাইবার অপরাধ দমনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আলাদা ‘সাইবার ক্রাইম’ ইউনিট গঠন করে। এ ইউনিটের সদস্যরা বিদেশে গিয়ে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে। কিন্তু চট্টগ্রামে সাইবার অপরাধ দমনে এ ধরনের কোনো ইউনিট গঠন করা হয়নি।
সিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, সিএমপিতে অনেক মেধাবী অফিসার যারা কিছু প্রযুক্তিগত সুবিধা পেলে অনেক ভালো পারফর্ম করবে। তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়া হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনেক অপরাধের রহস্য বের করতে পারবে। বিডি-প্রতিদিন
১৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস