চট্টগ্রাম: নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পর স্বামীর বাড়ির পুকুরপাড়ের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হলো সখিনা বেগমের (৩০) লাশ। স্বামী অটোরিকশা চালক মনছব আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সখিনা। প্রথম স্ত্রী ঝুনু আকতারকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২৬ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সখিনা।
সখিনা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ঝুনু আকতার পালিয়ে ছিলেন। গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাটহাজারী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর মনছব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩১ মার্চ।
গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে মনছবের বাড়ির পুকুরপাড়ে মাটি খুঁড়ে সখিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও সখিনার পরিবার জানায়, ২০০৯ সালে ফটিকছড়ির সখিনা বেগমকে (দ্বিতীয় স্ত্রী) বিয়ে করেন মনছব। প্রথম স্ত্রী ঝুনু আকতার চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মনছব উপজেলার দোহাজারী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামীম হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় স্বামী মনছব আলী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যান। তাঁরা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সখিনাকে। পরে বাড়ির পাশে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে প্রথম স্ত্রী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
সখিনা বেগমের ছোট বোন রিনা আকতার বলেন, গত ২৭ মার্চ সকালে তাঁর বোনের স্বামী তাঁদের ফোন করে জানান, সখিনা বাড়িতে নেই। এর আগের দিন রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। রাগ করে হয়তো কোথাও চলে গেছেন। সখিনার খোঁজ না পেয়ে তাঁরা ৩১ মার্চ থানায় মামলা করেন।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে স্বামীকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু হত্যার কথা স্বীকার করেননি তিনি। কিন্তু তাঁর প্রথম স্ত্রী ঝুনু আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন।- প্রথম আলো
২৫ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ