ফারুক তাহের : ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি অনুসরণ করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটিতে নতুন দুজনকে পদায়ন করা হতে পারে। এতে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন নগর বিএনপির অন্যান্য নেতারা।
বিশেষ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিক নগর সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালে দলের জন্য ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে না এরকম মন্তব্যও নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। একইভাবে সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার কারণে ডা. শাহাদাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে হলে নগর বিএনপির রাজনীতিতে নানামুখী সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন দলের একটি পক্ষ। এ অবস্থায় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি অবলম্বন কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল থাকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি অপূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েই পার করেছে প্রায় ৭ বছর। মাত্র চারজনের এই কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক কর্মসূচিসহ রাজপথে নানাভাবে দায়িত্ব পালন করে এলেও বিগত সময়গুলোতে নগর বিএনপি ছিল দল-উপদলে বিভক্ত। এ অবস্থায় নিজের ইমেজ ধরে রাখার জন্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিজ থেকেই নগর বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে ইচ্ছুক। এই পদে সত্যিই যদি শূন্যতা তৈরি হয়, তাহলে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত এমন কাউকে এই পদে দেওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে দলের তৃণমূলের একটি অংশ মনে করেন বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার অথবা সাবেক সভাপতি মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলে নগর বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত হবে। আবার অন্য একটি অংশের ধারণা সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাতকে সভাপতির দায়িত্বে দেওয়া হলে এখানকার দলীয় রাজনীতির ধারাবাহিকতা অনেকাংশে রক্ষা হবে। তবে এতে সাধারণ সম্পাদক পদেও তৈরি হবে আরেক সংকট। এ ক্ষেত্রে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম বক্কর অথবা নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করতে কেন্দ্রে তাদের পক্ষে লবিং চলছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতির দক্ষ নেতারা স্বয়ং এই দুই যুব ও ছাত্রনেতার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।-বিডি প্রতিদিন
৯ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ