ঢাকা : ৪০ সেকেন্ডের কম সময়েই পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ এমনটাই জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পেশাদার খুনিরা মিতুকে হত্যা করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, খুব অল্প সময়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। পেশাদার লোক না হলে এতো কম সময়ে অপারেশন শেষ করা সম্ভব হতো না। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ব্যস্ততম জিইসি মোড় সংলগ্ন ওয়েল ফুড নামে মিষ্টির দোকানের সামনের সড়কের গোল পাহাড়ের দিক থেকে ছেলেকে স্কুলের গাড়িতে তুলে দিতে জিইসি মোড় আসছিলেন পুলিশ সুপারের স্ত্রী মাহমুদা খানম।
তারা জানান, এসময় মোটরসাইকেল করে তিন যুবক জিইসি মোড় থেকে গিয়ে তার সামনে হাজির হয়। মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবকের মধ্যে এক যুবক তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। আরেক যুবক গুলি করে চলে যায়। তারা সময় নেয় ৪০ সেকেন্ডের মতো।
পরিতোষ ঘোষ আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে বলেন, হত্যার ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেকি করেছিলেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে বাসা থেকে বের হয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে আসবে এটা নিশ্চয় তারা আগে থেকে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী তার ছেলে মাহমুদ আকতার মাহিরকে নিয়ে জিইসি মোড় পৌঁছার আগেই ওয়েল ফুড নামক দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে করে তিন আরোহী আসেন।
পরিতোষ ঘোষ বলেন, যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার মাথায় হেলমেট ছিল। বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ হবে। তার পেছনে দুজন বসা ছিল। মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছুরি ছিল। পেছনে বসা তৃতীয়জনের হাতে একটি পিস্তল ছিল।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবক প্রথমে মাহমুদা খানমকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাঝখানে থাকা যুবক প্রথমে তার বুকে, হাতে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
পরিতোষ ঘোষ বলেন, তৃতীয়জনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে। প্রথম ফায়ারটি মিস হয়। দ্বিতীয় ফায়ারে বাবুল আক্তারের স্ত্রীর কপালের বাঁ পাশে গিয়ে লাগে। সবকিছু করতে ৪০-৪৫ সেকেন্ড সময় লাগে।
তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ থেকে পাওয়া তিন যুবকের চেহারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। প্রথমজনের মাথায় হেলমেট থাকায় চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। তবে গুরুত্বের সঙ্গে তাদের খোঁজা হচ্ছে।
৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম