চট্টগ্রাম : সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের আজ পুলিশ সদর দপ্তরে এসপি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা ছিল। সে জন্য বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু ও দুই ছেলেকে রেখে গত বৃহস্পতিবারই ঢাকা চলে যান তিনি।
যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, চট্টগ্রাম থেকে বিদায় নেয়ায় খারাপ লাগছে। শরীরটাও দুর্বল হয়ে গেছে। ঢাকায় যেতে না যেতেই তিনি দুঃসংবাদ শুনতে পেলেন। চলে আসলেন চট্টগ্রামে।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসার পরই শত শত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সামনে বিলাপ করতে থাকেন।
পরিচিত একজনের হাত ধরে বিলাপ করতে থাকেন, দিদার তোর ভাবি কই? তোর ভাবিরে আইনা দে! তোর সাথেই কাল গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলেছিলাম। আজকে আমার কী হলো?
এসময় উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। অনেক সহকর্মীকেও অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে।
বিলাপ করতে করতে চট্টগ্রাম র্যাবের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদকে বাবুল আক্তার বলেন, ‘স্যার, আমার বউরে আইনা দেন, আমার বউ কই? আমার বউ গেল কই, আমার বউরে আইনা দেন। ও কি বেঁচে আছে না মরে গেছে, আমাকে একটু দেখতে দেন।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম