চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাতে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার সকালে বাসার অদূরে নগরীরর জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে এসেছে বিস্তারিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিতুকে হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে মোটরসাইকেলে এসেছিল দুই খুনি। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিল তিনজন। আরেকজন আগে থেকেই স্থানীয় নিরিবিলি হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন।
খুনের পর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জিইসি মোড়ের নিরিবিলি হোটেলে কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম (৪২) বলেন, সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রেস্টুরেন্টে আসছিলাম। হঠাৎ নজরে পড়ে হোটেলের নিচে অচেনা এক যুবক মোবাইলে কথা বলছেন।
তিনি বলেন, জিনসের প্যান্ট পরা ছিল। একটু পর সে রাস্তা পার হলো। তখনি দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল এলো। এ সময় ছেলের হাত ধরে হাঁটতে থাকা এক মাকে ধাক্কা দিল মোটরসাইকেলটি।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই মোটরসাইকেলে ছিল দুই যুবক। তারা নেমে ওই মাকে মারতে শুরু করলেন। ততক্ষণে ছোট্ট ছেলেটি দৌড়ে চলে গেল। একপর্যায়ে ওই মা উঠে দাঁড়ালেন। তখনি গুলির শব্দ। তারপর তিনজন মোটরসাইকেলে উঠে পড়লো। গোলপাহাড়ের দিকে পালিয়ে গেল তিনজনই। এরপর আমরা ছুটে গেলাম। ততক্ষণে সব শেষ।
বাবুল আক্তারের বাসার নিরাপত্তাকর্মী আবদুস ছাত্তার বলেন, আমাদের ভবনে ঢোকার সড়কের মোড়ে মাহিরকে কাঁদতে দেখে দৌড়ে যাই। তাকে বললাম বাবা কি হয়েছে? সে তখন উত্তর দিল মাকে মেরে ফেলেছে।
তিনি বলেন, তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম ভাবী পড়ে আছেন। দ্রুত মাহিকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে আসি এবং একটা চাদর নিয়ে আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ভাবীর শরীর ঢেকে দিই। এরপর সবাইকে খবর দিই।
তিনি বলেন, কারা মেরেছে আমি দেখিনি। তবে মাহিরের কাছ থেকে শুনেছি তিনজন মানুষ মোটরসাইকেলে করে এসে ভাবীকে ধাক্কা মারে। পরে পেটে ছুরিকাঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দেন এবং মাথায় গুলি করেন।
২৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম