মঙ্গলবার, ০৭ জুন, ২০১৬, ০৬:১২:২৮

কে পাঠিয়েছিল মিতুর মোবাইলে সেই এসএমএস?

কে পাঠিয়েছিল মিতুর মোবাইলে সেই এসএমএস?

চট্টগ্রাম : ৫ জুন রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে।  বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মিতুকে কে দিয়েছিল এসএমএস? তাতে কি বা লেখা ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন বাবুল অাক্তার। ছেলে মাহিরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের নামে একটি এসএমএস এসেছিল বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর মোবাইল ফোনে। সেই এসএমএস-এর বার্তা পেয়ে সকালে ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি।  এরপরই তাকে হত্যা করা হয়।

তদন্তকারীদের সামনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, স্কুলের সময়সূচি পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে মিতুকে সেই এসএমএস কে পাঠিয়েছিল।  নগর গোয়েন্দা পুলিশ এই এসএমএস-এর বিষয়টি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।  স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের এসএমএস পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, রোববার খুন হওয়ার আগের দিন মিতুর মোবাইল ফোনে স্কুলের নামে একটি এসএমএস আসে।  রোববার স্কুলে বিশেষ অ্যাসেম্বলি আছে উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুলে যেতে বলা হয় তাকে।  নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল বাস জিইসি মোড়ে অবস্থান করবে বলে জানানো হয়।

এসএমএসের বার্তা পেয়েই রোববার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোরে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে বাসার বাইরে এসেছিলেন মিতু।  এরপর তিনি ঘাতকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন।

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল আবু নাসের মোহাম্মদ তোহা গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার স্কুলের সময় অপরিবর্তিতই ছিল। সময় পরিবর্তন হয়েছে- এমন কোনো এসএমএস কোনো অভিভাবকের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঠায়নি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী মাহিরের মায়ের কাছে স্কুলের নামে ভুয়া এসএমএস কে বা কারা পাঠিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।  স্কুলের আইটি বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।  পুলিশও বিষয়টা তদন্ত করে দেখবে।

সূত্র জানায়, বাবুল আক্তার পরিবার নিয়ে জিইসি মোড় এলাকায় যে ভবনে থাকেন তার কয়েকটি ফ্ল্যাটে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে পড়েন।  শিক্ষার্থীদের সবার অভিভাবকের কাছেই স্কুলের সময়সূচি পরিবর্তনের এসএমএসটি এসেছিল জানতে পেরেছে পুলিশ।

কেবল একটি ভবনের শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে এ ধরনের এসএমএস যায়নি।  পুলিশ ধারণা করছে এসএমএস-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতেই ঘাতকচক্র ভবনের সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে এসএমএস পাঠিয়েছে।  

পুলিশ এসএমএস-এর উৎস খুঁজে বের করার জন্য এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।  এমএমএসের বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের জানান, স্কুল সময় পরিবর্তনের একটি এসএমএস মিতুর মোবাইলে এসেছিল বলে জানতে পেরেছি।  ঘটনার আগের দিন মিতু এসএমএস প্রসঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথাও বলেছেন।  

তিনি বলেন, কিন্তু হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর থেকে মিতুর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা প্রতিটি বিষয় তদন্ত করে দেখছি।  মোবাইল ফোনের এসএমএস রহস্যও শিগগিরই উদ্ঘাটিত করা হবে বলে জানান তিনি।
৭ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে