চট্টগ্রাম : পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে ব্যবহৃত সেই কালো মাইক্রোবাসসহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে নগরীর ভেতর থেকে চালকসহ মাইক্রেবাসটি আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। তবে এ বিষয়ে আগামীকাল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, জব্দ হওয়া কালো মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ অব কোম্পানির গাড়ি।
যেটিকে মিতু হত্যার মিশনে ব্যাকআপ টিমকে বহনকারী গাড়ি হিসেবে সন্দেহ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এ গাড়ির চালক কোম্পানির অগোচরে জেএমবির কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত।
এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর সদরঘাটের বাংলাবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় এক ব্যবসায়ীসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় ৫ অক্টোবর খোঁয়াজনগর থেকে আটক পাঁচ জেএমবির একজন শাহজাহান কাজল সেই কোমল পানীয় বিপণন প্রতিষ্ঠানে চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে রোববার রাতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটটি ছিল ভুয়া।
এ নম্বরের প্রকৃত মালিকের কাছে তার মোটরসাইকেলটি নিজ হেফাজতেই রয়েছে। উদ্ধার হওয়া গাড়ির চেচিস ও ইঞ্জিন নম্বর থেকে এর প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পরে সোমবার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিলেও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ থেকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে সাবেক শিবির ক্যাডার আবু নছর গুন্নুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য দুপুরে সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সাবেক এ শিবির ক্যাডার দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে থাকলেও ৫ বছর আগে তিনি দেশে ফেরেন। ফিরেই হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদের একটি মাজারে খাদেম হিসেবে যোগ দেন।
মিতু হত্যায় আবু নছরের সম্পৃক্ততা আছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আবু নছর হাটহাজারী উপজেলার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা।
দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
৮ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম