চট্টগ্রাম : পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে যারা হত্যা করেছে সরাসরি দেখেছেন মাইক্রোবাসচালক জানে আলম।
মাইক্রোবাসসহ আটক হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ড সরাসরি প্রত্যক্ষ করে কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনি অবহিত করলেন না? কেনই বা ওই মোটরসাইকেলের পিছু নিলেন না যে, ওরা আসলে কোথায় যায়?
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য আটক মাইক্রোবাসচালক জানে আলমের বরাত দিয়ে মিতু হত্যার সরাসরি দেখার তথ্য জানান।
তিনি জানান, মাইক্রোবাসচালক জানে আলম কেন ওই সময়ে জিইসি মোড়ে গিয়েছিলেন? এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে কি-না তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বুধবার রাতে কালো রংয়ের মাইক্রোবাসটি জেলার সীতাকুণ্ড থেকে আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে চালক জানে আলম ছিলেন। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নে।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৭টায় সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হতেন মিতু। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে বাসা থেকে বের হন।
কেন তিনি নির্দিষ্ট সময়ের ৪০ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান দেবদাস ভট্টাচার্য।
তিনি জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বুধবার সকালে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী আবু নছর গুন্নুকে রিমান্ডে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বুধবার হাটহাজারী থেকে সাবেক শিবিরকর্মী আবু নছর গুন্নুকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস চালকেও আটক করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর মোটরসাইকেলে করে তিনজন পালিয়ে যাওয়ার পরপরই একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস ঘটনাস্থল অতিক্রম করে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে চলে যেতে দেখা যায়।
৯ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম