বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১২:৩৮:৪৯

স্বাবলম্বী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর-জমি ফেরত দিলেন জমির

স্বাবলম্বী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর-জমি ফেরত দিলেন জমির

চুয়াডাঙ্গা থেকে : ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর ও জমি দেওয়া হয়েছিল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভূমিহীন জমির উদ্দিনকে। কিন্তু বেশ কিছু দিন বসবাসের পর ওই জমি ও ঘর ফেরত দিয়েছেন তিনি। নিজের বসবাসের ঘরটি এলাকার অন্য দরিদ্র মানুষকে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন জমির।

জমির উদ্দিন বিশ্বাস (২৮) জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে। এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার পরিবার। গত বছরের ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে জীবননগর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৮টি ঘর উদ্বোধন করেন। ভূমিহীন দিনমজুর জমির উদ্দিন আন্দুলবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহারের বাড়িতে বসবাস করতেন। ব্যবসা করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। এ কারণে স্ত্রী আফরোজা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে উপহারের ঘর ও জমির দলিল ফেরত দেন জমির।

ঘর ও জমি ফিরিয়ে দেওয়ার পর জমির উদ্দিন বলেন, একসময় আমার কিছুই ছিল না। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। ছিল না এক শতক জমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য ঘর ও জমি দিয়েছিলেন। সেখানে থেকে আমি কলার ব্যবসা শুরু করি। এখন আমি স্বাবলম্বী। নিজে অর্থ আয় করে জমি কিনেছি এবং ঘর তৈরি করেছি। আমার তো এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। সমাজে এখনও অনেক দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তি আছেন। এই ঘরটা আমি তাদের দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। স্বাবলম্বী হয়ে জমি ও ঘর তৈরি করেছি। এখন এই ঘর ও জমি আমার প্রয়োজন নেই। আমি চাই, এই ঘরটা অন্য কোনও দরিদ্র মানুষ পাক।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্ন, দেশে যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে সেজন্য তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি এবং ঘর দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় শাহপুর গ্রামের দিনমজুর জমির উদ্দিনকে একটি ঘর দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘরে থেকে পরিশ্রম করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। নিজের নামে অন্য স্থানে জমি কিনে ঘর করে বসবাস করায় উপহারের জমি ও ঘর ফেরত দিয়েছেন। ঘরটি অন্য কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে দেওয়া হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে