কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাঝখানে চলন্ত বাস উল্টে গিয়ে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ ৩৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার বেলা দেড়টার দিকে রামুর রশিদনগর গ্যারেজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর সড়কের দুপাশে শত শত বাস আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। দমকল বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায়। সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
নিহতদের মরদেহ রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কাশেম (৪২), চকরিয়া উপজেলার পূর্বভেওলার মৃত কবির আহামদের স্ত্রী নূরুন্নাহার (৪০), পেকুয়ার টেটং ইউনিয়নের মো. শফিকের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (২২) ও কুতুবদিয়ার উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের মৃত এবাদুল্লাহর ছেলে মো. ফারুক (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রশিদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহণের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-০১০৫) দ্রুতগতিতে কক্সবাজার যাচ্ছিল। বেলা দেড়টার দিকে মহাসড়কের রামুর রশিদনগর গ্যারেজ এলাকায় চলন্ত গাড়িটি সড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে গাড়ির ভেতর চাপা পড়ে যাত্রীরা।
খবর পেয়ে কক্সবাজার দমকল বাহিনী, রামু থানা ও হাইওয়ে পুলিশ, রামু ৫০ বিজিবি ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্যক্রমে শুরু করে।
রামু হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আজাদ বলেন, বাসের দুপাশের বডি কেটে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করা হয়। নারী-শিশুসহ প্রায় ৪০-৪৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম বলেন, আহতদের রামু হাসপাতালে আনার পথে দুজন মারা গেছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩০ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসবি