কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় আশ্রয় নেয়া এক রোহিঙ্গা নারী খোলা আকাশের নীচে সন্তান প্রসব করেছেন। এ ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার ভোররাত থেকে রঙ্গিখালী, নাটমোরাপাড়া, জালিয়াপাড়া, হ্নীলা পূর্ব ফুলের ডেইল, হোয়াব্রাং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকারী প্রায় সাতশ' রোহিঙ্গা উপজেলার হ্নীলা বাস স্টেশনের উত্তর পার্শ্বের খোলা মাঠে বসতি গড়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি'র হ্নীলা বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম বিশেষ টহল দল, হ্নীলা ইউপি সচিব হাকিম উদ্দিন পাহাড়ী গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় প্রশাসনের তৎপরতা দেখে কৌশলে রোহিঙ্গা পুরুষেরা পালিয়ে গেলেও নারী-শিশুরা থেকে যায়। বিজিবি জওয়ানেরা ৩৫৬ জন নারী-শিশুকে জড়ো করে স্বদেশ ফেরতের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ অবস্থায় জড়ো করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমারের বুড়া সিকদারপাড়ার আবুল আলমের স্ত্রী খুরশিদার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হোছন আহমদের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে নিয়ে গেলে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
পরে বিজিবি জওয়ানেরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রসূতিকে উন্নত চিকিৎসা সহায়তার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিজিবি এসব অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে এবং জড়ো করা রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের স্বদেশ প্রেরণ করে বলে জানা গেছে।
এদিকে অনুপ্রবেশকারী পয়েন্টসমূহে চিহ্নিত দালাল চক্রের সদস্যরা অনুপ্রবেশকারী এসব রোহিঙ্গাদের ঘরে বন্দি করে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এরপর মাঝপথে এলাকার অপর দালাল চক্রের সদস্যরা এসব রোহিঙ্গাদের মালামাল হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম