নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়েছে চীন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য এশিয়া বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত সান গোসিয়াং তিনদিনের সফরে আগামী সোমবার ঢাকা আসছেন। এছাড়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং কক্সবাজার সফর করেছেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করে গেলেও তা রোধে সু চি কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন নি। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগও মিয়ানমার সরকার আমলে নেয়নি। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে উঠায় চীন পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকা রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আর তারই অংশ হিসাবে চীনের বিশেষ দূত সান গোসিয়াং বাংলাদেশে আসছেন।
গোসিয়াং আগামী সোমবার ঢাকা আসবেন। পরদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে সাক্ষাত এবং পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সাথে বৈঠক করবেন। বুধবার তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সু চিকে আরো সময় দিতে চায়। এছাড়া তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। তাই রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চললেও পশ্চিমা বিশ্ব প্রায় নিরব ভূমিকা পালন করেছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চির সাথে আলোচনার পর বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে বৈঠক করে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে কক্সবাজার গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাকার্তা সফরকালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংকট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো ত্রাণ সহায়তা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মধ্যে বিতরনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। একইসাথে রোহিঙ্গাদের চরাঞ্চলে স্থানান্তরে সরকারের পরিকল্পনার কথা জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিটিতে উত্থাপন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
১৫ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/পিপি/টিএস