কক্সবাজার থেকে: অভাব-অনটনের সংসারে জন্ম নেয়া টগবগে তরুন মো: সেলিম উদ্দিন শত-প্রতিকুলতা অতিক্রম করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চকরিয়া কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।
পারিবারিক দৈন্যদশার কারণে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহনে যেতে পারলেও টাকার অভাবে কোনদিন প্রাইভেট কোচিং পড়তে পারেনি। সকালে একমুঠো পান্থাভাত খেয়ে বই-খাতাসহ বিদ্যালয়ে গেলেও পাঠগ্রহন চুকিয়ে বিকেলে জীবিকার তাগিতে রিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় নামতে হয়েছে তাকে।
এভাবে কেটেছে জীবনের আটটি বছর। তারপরও থেমে থাকেনি অধম্য বালক সেলিম উদ্দিন। এগিয়ে চলেছে সামনে পথে। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দরিদ্র পরিবারের অধম্য সন্তান মো: সেলিম উদ্দিন বিজ্ঞান বিভাগে ৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট পেয়ে এ-মাইনাস পেয়েছে। তাঁর রোল নম্বর ১১৯৮৪৪।
কৈয়ারবিল হামিদউল্লাহ মুহুরীপাড়ার ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা আক্তার আহমদ ও গৃহিনী ছালেহা বেগমের পুত্র। সেলিম উদ্দিন বলেন, আমার বাবা ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা। গর্ভধারিণী মা বেঁচে আছেন। সংসারে দুই ভাই ও এক বোন। ছোট ভাই লেখাপড়া করে পঞ্চম শ্রেণীতে। সংসারে অভাবের কারনে বাধ্য হয়ে ব্যয় মেঠাতে রিক্সা চালাই। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও আমি পরম সৃষ্টিকর্তার মেহেরবানিতে আজ সেই কষ্টের পুরস্কার পেয়েছি।
০৯ মে ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি//প্রতিনিধি