কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারের টেকনাফে ১৩৫ কিমি বেগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে এ আঘাত হানে।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল এখন উত্তাল। এছাড়াও সেন্টমার্টিন ও কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখন হালকা বৃষ্টি ও শীতল হাওয়া বইছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ (১৫ নম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার সমুদ্রবন্দরসহ কয়েকটি উপকূলীয় জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ৩৮০ কিলেমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল মোরা।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে সাগর রয়েছে উত্তাল।
এমটিনিউজ২৪/এম,জে