শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪১:১৫

অমিসহ মিয়ানমারের দুই ফটো সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল পুলিশ

অমিসহ মিয়ানমারের দুই ফটো সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল পুলিশ

কক্সবাজার থেকে : মিয়ানমারের দুই ফটো সাংবাদিকসহ ফটোগ্রাফি বিষয়ক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘কাউন্টার ফটো’র প্রিন্সিপাল ফটোগ্রাফার সাইফুল হক অমিকে হেফাজতে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এখবর নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আফরুজুল হক টুটুল। তারা তিনজনই এখন ঢাকার পথে বলেও জানান তিনি।

আফরুজুল হক টুটুল আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলে ঢাকায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ সাইফুল হক অমির সঙ্গে মোবাইল ফোনে শনিবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু ঝামেলায় আছি। ঢাকায় ফিরছি।’ এরপর সন্ধ্যা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয় যায়। অমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন।

ঠিক কী কারণে তাদের হেফাজতে নেওয়া হলো জানতে চাইলে আফরুজুল হক টুটুল শনিবার বিকালে বলেন, ‘মিয়ানমারের দুজন ফটো জার্নালিস্টসহ অমিকে উইন্ডি টেরিস নামের একটি হোটেল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পরে কথা বলে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

কেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে পুলিশ মনে করলো– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের দুই ফটোজার্নালিস্টের কাছে কাজের অনুমতি ছিল না, তারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গেই ছিলেন অমি।’

এক প্রশ্নের জবাবে আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘সাইফুল হক অমিসহ আরও দুজনকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার বা আটক কোনোটিই করা হয়নি। শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল।’

গত ৩১ আগস্ট সাইফুল হক অমি কক্সবাজার যান। এরপর থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে পরিস্থিতি জানাচ্ছিলেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও তিনি সীমান্তে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আসছিলেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত ঘোরার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি যদি খুব বেশি ভুল না হয়ে থাকি তাহলে চলমান এই গণহত্যা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ করবে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তার কোন ধারণা আপনাদের নেই।’
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে