নিউজ ডেস্ক : বান্দরবানের নাইক্ষাংছড়ি থেকে ৪ মায়ানমারের গুপ্তচরকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ব্যাটালিয়ন ৩১ এর সিইও।
বিজিবি সূত্র জানায়, মিয়ানমার আর্মির নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা। এসব সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে যায় এই চার গুপ্তচর।
মঙ্গলবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এই চার গুপ্তচরকে আটক করে। বর্তমানে তাদের বান্দরবান সদরে সেনাবাহিনীর হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আটক চার গুপ্তচর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এই চার গুপ্তচর মিয়ানমার আর্মির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে রাখাইন রাজ্যে আর্মির সাথে রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার কাজে অংশ নিয়েছে।
আটকৃত চার জনের হাত দিয়ে কয়েকশ’ রোহিঙ্গা হত্যা করা হয়েছে মর্মে তারা স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
চার রোহিঙ্গা গুপ্তচর আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের জি এস টুআই মেজর মেহেদী হাসান জানান, তারা মিয়ানমার আর্মির হয়ে কাজ করছে। তারা মিয়ানমার থেকে অন্যান্য নির্যাতিত সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে এপারে এসে আশ্রয় নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অডিও ভিডিওসহ সকল ধরনের তথ্য মিয়ানমার আর্মির কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো জানান, চার গুপ্তচরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে আটক চার গুপ্তচরের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস