নিউজ ডেস্ক: নাফ নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ৮ বছরের শিশু আরাফাত হারিয়েছেন বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের আপনজন সবাইকে। তারা কী বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন জানে না শিশুটি।
রোববার রাতে বাবা কামাল হোসেন, মা সারাহ খাতুন, বড় বোন জান্নাত আরা, ছোট ভাই মোহাম্মদ ইয়াসের ও আরাফাত গ্রামের অন্যদের সঙ্গে নাইক্ষংদিয়া এলাকা থেকে ট্রলারটিতে ওঠে। গন্তব্য ছিল বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপ।
রাখাইনে সেনা ও মগদের অত্যাচার থেকে প্রাণ বাঁচাতে তাদের আর কোনো পথ খোলা ছিল না। গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে আরও আগে। এত দিন পালিয়ে পালিয়ে ছিল বিভিন্ন গ্রামে। শেষে খাবারের অভাব দেখা দেয়। তার ওপর ছিল নতুন করে সেনা অভিযান। বাংলাদেশে পালিয়ে আসাই ছিল জীবন বাঁচানোর একমাত্র পথ। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হলো না।
নিজে বাঁচলেও হারিয়েছেন মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে। বেঁচে যাওয়া গ্রামের অন্যদের সঙ্গে রয়েছে সে এখন। গন্তব্য বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির।
কীভাবে সে বেঁচে গেছে জিজ্ঞেস করতেই জানালো একটি ভাসমান মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মৃতদেহটি ছিল একজন বয়স্ক লোকের। তবে অন্ধকারে তাকে চিনতে পারেননি। বুঝতে পেরেছিলেন লোকটি মারা গেছে।
কিন্তু সেই মুহূর্তে বেঁচে থাকার জন্য মৃতদেহটিই ছিল একমাত্র অবলম্বন। এভাবে কতক্ষণ ছিল হিসাব নেই। তবে দুই-তিন ঘণ্টার কম হবে না। পরে বিজিবির একটি উদ্ধারকারী ট্রলার নাফ নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে। আপনজন হারানোর গভীর শোক নিয়েই সে জানাচ্ছিল বেঁচে থাকার করুণ গল্প।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস