রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে জোর কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সোমবার উখিয়ার ময়নার গোনা রোহিঙ্গা শিবিরে কিছু ত্রান বিরতণের পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের যেভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ ছিলো, সেভাবে তারা দাঁড়াতে পারেনি। বরং যারা কাজ করতে চায় তাদেরও নানাভাবে বাঁধার সৃষ্টি করছে।
জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমি বলব, আপনারা অবিলম্বে এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে কুটনীতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করুন এবং সরকারকে জোর কুটনীতি তৎপরতা চালাতে বলব। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এই দায়িত্ব নিতে হবে যাতে অতিদ্রুত এই রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় বসবাস করতে পারে।
একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপাসন বলেন, আমরা মনে করি কুটনৈতিক তৎপরতা ও আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হতে পারে। তিনি বলেন, আমি মিয়ানমার সরকারকে বলব আপনার মানবতার খাতিরে অতিদ্রুত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে নিজের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।
বেলা ১টায় কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে উখিয়ার ময়নার গোনা শিবিরে আসেন। সেখানে তিনি কিছু রোহিঙ্গা পরিবারের হাতে ত্রান সামগ্রি তুলে দেন। লন্ডন থেকে গত ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরার পর এটি বিএনপি চেয়ারপারসন জনসমক্ষে প্রথম বক্তব্য।
খালেদা জিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন সময়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, গোলাম আকবর খন্দকার, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শ্যামা ওবায়েদ, মাহবুবুর রহমান শামীম, আবদুস সালাম আজাদ, স্থানীয় সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল, হাসিনা আহমেদ, জেলা সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অঙ্গসংগঠনের সাইফুল আলম নিবর, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশার, বজলুল বাসিত আনজু, আহসান উল্লাহ হাসান প্রমূখ নেতৃবৃন্দও ছিলেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুন মাসে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও ভাংচুরের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে কক্সবাজারে আসেন খালেদা জিয়া। রোহিঙ্গাদের দেখতে খালেদা জিয়া শনিবার সড়ক পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং রোববার রাতে কক্সবাজার আসেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস