কক্সবাজার: মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা তরুণীকে পুত্রবধূ সাজিয়ে পাসপোর্ট করাতে এসেছিলেন সুলতান (৫৫)। কিন্তু বিধিবাম। সন্দেহের ভিত্তিতে ধরা পড়েন দুজনেই। আসল সত্য প্রকাশ পাওয়ার পর ধরা পড়ে সাজা নিয়ে কারাগারে গেলেন নকল শ্বশুর ও পুত্রবধূ।
রোববার দুপুরে আটক করার পর সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা আবু নাঈম মাসুম। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
শ্বশুর সেজে আটকের পর ৪ মাস সাজা পাওয়া সুলতান কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ও পুত্রবধূ সেজে ২ মাস সাজা পাওয়া নুর জাহান (১৮) উখিয়ার কুতুপালং ডি-ব্লকের জাবের আহমদের মেয়ে।
পাসপোর্ট কর্মকর্তা আবু নাঈম মাসুম জানান, অন্য দশজনের মতো সুলতান মেয়েটিকে নিয়ে অফিসে আসেন। মেয়েটি তার পুত্রবধূ পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রমাণ স্বরূপ পরিবারের অনেকের স্মার্টকার্ড নিয়ে আসেন তারা। এরপরও তাদের আচার-আচরণে সন্দেহ হওয়ায় বসিয়ে রেখে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা সাজানো শ্বশুর ও পুত্রবধূ এটি বেরিয়ে আসে। টাকার বিনিময়ে নুর জাহানকে পাসপোর্ট করাতে এনেছেন সুলতান এমনটি স্বীকার করায় পুলিশে দেয়া হয় দুইজনকে।
তিনি আরও জানান, বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখের ভ্রাম্যমাণ আদালত মো. সুলতানকে ৪ মাস ও রোহিঙ্গা তরুণী নুর জাহানকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেন। সন্ধ্যায় সাজাপ্রাপ্ত ভুয়া শ্বশুর ও পুত্রবধূকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইবকাল হোসেন বলেন, এভাবে ধরে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো স্থায়ী সমাধান নয়। স্থানীয় অধিবাসীরা সচেতন না হলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। টাকার কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে ভিনদেশিদের বাংলাদেশি বানানো নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারার সমান। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।