কক্সবাজার : নাফ নদে ডুবন্ত জালে আটকে পড়ায় পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যেতে পারল না পর্যটকবাহী জাহাজ বে-ক্রুজ। তিন শতাধিক পর্যটক নিয়ে জাহাজটি টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় জালে জড়িয়ে আটকে ছিল। ডুবুরির সহযোগিতায় পাখায় আটকানো জাল কেটে সন্ধ্যায় তীরে ফেরে জাহাজটি।
এ সময় আটকে পড়া জাহাজের পর্যটকরা ভয়ে হৈ চৈ শুরু করেন। অনেকে সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি আটকা পড়ে বলে জানান বে-ক্রুজের টেকনাফস্থ ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে জাহাজটি উপজেলার দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৩ শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটি এক ঘণ্টা যাবার পর টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় জাহাজের পেছনের পাখা একটি ডুবন্ত জালে (বিহিঙ্গি জাল) জড়িয়ে পড়ে। এতে জাহাজটি বন্ধ হয়ে যায়। জাহাজের নাবিক ও অন্যরা শত চেষ্টা করেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাখায় আটকানো জালগুলো ছাড়াতে ব্যর্থ হন। পরে সেন্টমার্টিন থেকে নৌ-বাহিনীর ডুবুরি এনে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আটকানো জাল সরাতে সক্ষম হন তারা। এরপর অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় সন্ধ্যায় জাহাজটি তীরে আনা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মো. হোসেন বলেন, জাহাজটির ধারণ ক্ষমতা ২৫১ জন হলেও তিন শতাধিক পর্যটক ওঠানো হয়। মৌসুমে শুরু থেকে জাহাজটি অতিরিক্ত পর্যটক পরিবহন করে আসছে। এর রুট পারমিট বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম পরিবেশ দূষণের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে যারা সেন্টমার্টিন যেতে ইচ্ছুক তাদের দুইটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। বাকিদের টিকেটের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।