টেকনাফ: টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান তদারকি করতে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার গিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারি। সেখানে তার জন্য উন্নত মানের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও তিনি থাকছেন একেবারেই সাধারণ একটি গেস্ট হাউজে। খাচ্ছেন স্থানীয় সাধারণ খাবারই। পুলিশ বাহিনী প্রধানের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। একে অনুকরণীয় বলছেনই অনেকেই।
জানা গেছে, শনিবার টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের তদারকি করতেই পুলিশের আইজিপি বৃহস্পতিবার কক্সবাজার এসে পৌঁছান। কক্সবাজার সাগর পাড়ে রয়েছে কমপক্ষে আধা ডজন তারকা মানের হোটেল। রয়েছে অনেক উন্নত মানের সরকারি-বেসরকারি সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে গেস্ট হাউজও। আইজিপি’র জন্য তারকা মানের হোটেলে অবস্থানের ব্যবস্থা থাকলেও তিনি এসব সুযোগ-সুবিধা না নিয়ে সাধারণ মানের গেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল আজম বলেন, আমি পুলিশের একজন ছোট কর্মকর্তা হিসেবে অবাক হচ্ছি পুলিশ বাহিনীর একজন প্রধান হয়েও আইজিপি স্যার সাগর পাড়ের আধুনিক সুযোগ সুবিধার হোটেলে থাকছেন না। তিনি থাকছেন পুলিশ ম্যাচের একটি অতি সাধারণ মানের কক্ষে।
পরিদর্শক কামরুল আজম আইজিপি’র অবস্থানের জন্য পুলিশ ম্যাচটির দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হবার সুবাধে এখানে সরকারি-বেসরকারি লোকজন আসেন প্রতিনিয়ত। অনেকেরই থাকে বিলাসী চাহিদা। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শকের সাধারণ্যে অবস্থান যেন অন্যরকমের।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া এ বিষয়ে বলেন, আমাদের দেশে পুলিশই যেহেতু নানা কাজে জড়িত থাকে সেহেতু পুলিশ নিয়েই সবচেয়ে বেশী আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে। আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধান হিসাবে আইজিপি মহোদয়ের এরকম সাধারণ মানের জীবন-যাপন দেশব্যাপী নিশ্চয়ই গোটা পুলিশ বাহিনীরই ভাবমূর্তি উজ্জল করবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ম্যাচের যে কক্ষে আইজিপি অবস্থান করছেন সেটির ভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ সাগর পাড়ের একটি তারকামানের হোটেলের প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ক্ষেত্র বিশেষে ১০/১৫ হাজার টাকা।