 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
কক্সবাজার : বৃটিশ শাসনামলে কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে একই মেন্যুতে সকালের নাস্তা করতেন বাংলাদেশের কারাবন্দীরা। দেড়শ বছর পর সেই মেন্যুতে পরিবর্তন এনেছে কারা কর্তৃপক্ষ।নাস্তায় সুস্বাদু খাবার যোগ করে অবশেষে পরিবর্তন এসেছে মেন্যুতে। সারাদেশের সঙ্গে মিল রেখে কক্সবাজার জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ নাস্তা হিসেবে মুখরোচক খিচুড়ি দিয়েই মেন্যুটির যাত্রা শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকালের নাস্তার মেন্যু ছিল একজন কয়েদি ১৪ দশমিক ৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১২০ গ্রাম আটার সমপরিমাণ রুটি পাবেন। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতির জন্য বরাদ্দ ছিল ৯০ গ্রাম আটার পরিমাণ রুটি। বৃটিশ পিরিয়ড শেষে পাকিস্তান আমল ও স্বাধীনতা পরবর্তী অর্ধশত বছর এ নিয়মেই চলে এসেছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, ১৮৬৪ সাল থেকে পুরোনো মেন্যু শুরু। ১৫৫ বছর পর বাংলাদেশ সরকার বন্দীদের জীবনমান উন্নতির জন্য নতুন নাস্তার প্রচলন শুরু করল। এ মেন্যুতে খিচুড়ি ২ দিন, রুটি সবজি ৪ দিন এবং রুটি ও হালুয়া ১ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে একযোগে নতুনভাবে এ নাস্তার প্রচলন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রোববার ভোর থেকে আমরাও নতুন মেন্যু কার্যক্রম চালু করেছি। কারাবন্দিরাও আনন্দে নতুন মেন্যুর খাবার গ্রহণ করেছেন।
কক্সবাজার কারাগারে রোববার সকালে ‘কারাবন্দিদের সকালের খাবারের পরিবর্তিত মেন্যু’ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী। এ সময় জেলার রিতেশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।