নিউজ ডেস্ক : চোখের জল মুছতে মুছতে মুঠোফোনে খুশির সংবাদটা বাবাকে জানাচ্ছিলেন আমিনুল হক আমিন। চোখে পানি আসাটা স্বাভাবিক। আর পাঁচজনের মতো তো আর স্বাভাবিক ছিলো না আমিনের জীবন। কৃষক বাবার পক্ষে সম্ভব ছিলো না আমিনের পড়াশোনার খরচ জোগানো। আর তাই নিজেই নিজের খরচ জুগিয়েছেন টিউশন করে। কখনো কখনো থাকতে হয়েছে আধ পেট খেয়ে। কিন্তু সামনে কিভাবে চালাবেন শিক্ষা জীবন!
আমিনুল হকের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার বহদ্দারকাটা এলাকায়। তার বাবা মোকতার আহমেদ পেশায় কৃষক। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় আমিনুল। বহদ্দারকাটা স্কুল থেকে এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পান তিনি। এবার এইচএসসিতেও পেলেন জিপিএ-৫। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমিনুলেন চোখ ছল ছলিয়ে ওঠে। তিনি জানান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।
আমিনুল বলেন, সাকলে উঠেই চলে যেতাম টিউশনিতে। এরপর কলেজের ক্লাস শেষ করেই আবারও যেতাম টিউশনিতে। সকালে ৫টায় উঠতাম ঘুম থেকে। এরপর ঘুমাতাম রাতে সেই ১টায়। এর মধ্যে যখনই সময় পেতাম পড়াশোনা করতাম। আমার স্বপ্ন ছিলো একটাই। যেভাবে হোক ভালো কিছু করতেই হবে। শিক্ষকরাও আমাকে সহোযোগিতা করেছেন প্রচুর।
এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হয়ে বিচারক হওয়ার আশা জানিয়ে তিনি বলেন, টিউশনি করে এইচএসসি পাস করেছি। কিন্তু এবার পরবর্তী শিক্ষা জীবন কিভাবে পার করব? সেই প্রশ্ন জাগছে মনে।