কক্সবাজার থেকে : উ'গ্র স'ন্ত্রা'সী রোহিঙ্গাদের হাতে টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক পরিকল্পিত হ'ত্যা'কাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তথ্যে, নাফ নদের এপার-ওপার ইয়াবার বড় চালান পাচারের পথ সুগম করার জন্যই ইয়াবা বিরোধী সাহসি যুবলীগ নেতাকে হ'ত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশের ধারণা, যুবলীগ নেতা ওমরকে সরিয়ে দিয়ে নাফ নদের ওপার এবং এপারের রোহিঙ্গারা ইয়াবার চালান পাচারের বাধা দুর করতে চেয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘবদ্ধ স'ন্ত্রা'সী রোহিঙ্গাদের যারাই যুবলীগ নেতাকে নি'র্মমভাবে খু'ন করেছে তাদের দুই সদস্য আজ শনিবার ভোর রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযু'দ্ধে’ নিহ'ত হয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এ বিষয়ে বলেছেন, টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের স'ন্ত্রা'সী রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শাহ ও আবদুস শুকুর জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে শনিবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযু'দ্ধে নিহ'ত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও ৯ রাউন্ড গু'লি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দলের তিন সদস্যও আহ'ত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের পার্শ্বে রাস্তায় টর্চলাইটের আলো ফেলার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ স'ন্ত্রা'সী রোহিঙ্গারা ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে। উ'গ্র স'ন্ত্রা'সী রোহিঙ্গার দলটি আল ইয়াকিনের সদস্য হিসাবে পরিচিত।
টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ে দলটির আস্তানা রয়েছে। সেই পাহাড়েই রয়েছে তাদের টর্চার সেল। রোহিঙ্গারা যুবলীগ নেতার পরিচয় জেনে তাকে টানা-হ্যাঁচড়া করেই পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে গু'লিতে ও ছু'রিকা'ঘা'তে হ'ত্যা করা হয়েছে। খু'নি রোহিঙ্গারা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে এমন নি'র্ম'মভাবে খু'ন করেছে যে, তারা তার চোখ পর্যন্ত বের করে নিয়েছে।
ওমর ফারুকের ঘনিষ্ট বন্ধু স্থানীয় যুবক আবদুল করিম জানান, তিনি তার বন্ধুর (ওমর ফারুক) ম'রদেহের গোসল দেওয়ার সময় দেখেছেন তার দুটি চোখের একটি সম্পূর্ণ বের করে ফেলা হয়েছে। বুকে ও কানে কয়েকটি গু'লি এবং পায়েও ছু'রিকা'ঘা'তের চিহ্ন রয়েছে। হ'ত্যাকারীরা আগে থেকেই ওমরকে টার্গেট করে রেখেছিল।
তার প্রমাণ মিলেছে টর্চলাইটের আলোর সঙ্গে সঙ্গে স'ন্ত্রা'সীদের প্রশ্নের জবাবে যখন ‘আমি ওমর আর কি’ একথা বলেন তখনই রোহিঙ্গা স'ন্ত্রা'সীরা হুং'কার ছেড়ে বলে-তুই শালার পুতকেইতো খুঁজছি। রোহিঙ্গা স'ন্ত্রা'সীরা নিহ'ত ওমরের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রথমে কয়েক রাউন্ড গু'লি ছোঁড়ে। গুলির শব্দে সবাই পালিয়ে যায়। কেবল দাঁড়িয়ে থাকে ওমর ফারুক।
এ সময় স'ন্ত্রা'সীরা দৌঁড়ে গিয়ে ওমরকে ধরে চেঁচাচেঁচি করে নিয়ে যেতে থাকে। পথিমধ্যেই তাকে হ'ত্যাকারীরা নির্ম'ম নি'র্যা'তন করে। টানা-হ্যাঁচড়া করে হ'ত্যাকারীরা তাকে জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে ছুরি দিয়ে চোখ উ'পড়ে ফেলার পরই বুকে এবং কানে উপর্যুপরি গু'লি করে।