কক্সবাজার থেকে : স্থানীয় গ্রামবাসীর ওপর দু'র্ধ'র্ষ সশ'স্ত্র রোহিঙ্গা বাহিনীর একের পর এক হা'ম'লা চালানোর ঘটনায় উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দারা আ'ত'ঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গত শনিবার রাতেও স'শ'স্ত্র রোহিঙ্গা বাহিনী পাহাড় থেকে নেমে আরো এক দফা হানা দিয়ে স্কুলছাত্রী দুই বোনকে অ'পহ'র'ণ করে নিয়ে গেছে। টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বাইন্যাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
অ'প'হৃত দুই বোন বাহারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ডা'কা'ত বাহিনী তাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়েও তাদের উদ্ধার করা যায়নি।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, দুই মাস আগে টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হ'ত্যাকাণ্ডে জড়িত রোহিঙ্গা স'শ'স্ত্র স'ন্ত্রা'সীদের দলটির অন্তত সাত সদস্য পুলিশের সঙ্গে ব'ন্দু'কযু'দ্ধে নি'হ'ত হয়েছে। ওই দলটির অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
ওসি জানিয়েছেন, পাহাড়ের গহিন এলাকায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে দু'র্ধ'র্ষ ডা'কা'ত বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত আবদুল হাকিম বাহিনীর সদস্যদের ধরার জন্য অনেকবার অভিযান চালানো হয়েছে। আবদুল হাকিমের এক ভাই ও তার (হাকিম) স্ত্রী পুলিশের সঙ্গে ব'ন্দু'কযু'দ্ধে নি'হ'ত হয়েছেন।
টেকনাফের পাহাড়ে রোহিঙ্গা স'শ'স্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। তাদের মধ্যে হাকিম বাহিনীর দলটি অন্যতম। এ বাহিনীতে শ'তা'ধিক সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে। হাকিম বাহিনীর অব্যাহত ডা'কা'তি, অ'পহ'র'ণ, হ'ত্যা, লু'টপা'ট ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় সীমান্ত জনপদের গ্রামবাসী অ'তী'ষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ শনিবার গভীর রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাইন্যাপাড়া গ্রামের হেডম্যান আবুল কালামের ঘরের দরজা ভেঙে তার দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। তারা ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে।
বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর হুমায়ূন কাদের জানিয়েছেন, হাকিম বাহিনী এর আগে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা হাফেজ সালাউদ্দিনকে অ'পহ'র'ণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে ১০ লাখ টাকা। একই এলাকার আবুল কাসেম নামের আরো এক ব্যক্তির দুই পুত্র অ'পহ'র'ণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে। গত দুই মাসে হাকিম বাহিনীর একটি দলই পাঁচটি অ'পহ'র'ণের ঘটনা ঘটিয়েছে। সূত্র : কালের কণ্ঠ