কক্সবাজার: করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও কক্সবাজারের রামুর অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরীর জা'নাজায় মানুষের ঢ'ল নেমেছে। সোমবার (০৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় রামু খিজারি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। জানাজায় ইমামতি করেন মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে মাওলানা হাফেজ তারেক।
জানাজা শেষে পারিবারিক ক'বরস্থানে তার ম'রদেহ দা'ফন করা হয়। জা'নাজার আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি এবং তাবলিগ জামাতের চট্টগ্রাম জেলা আমির জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, চট্টগ্রাম জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা আমির মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, কাকরাইল মসজিদের প্রতিনিধি মাওলানা বেলায়ত হোসাইন, রামুর প্রবীণ আলেমে দ্বীন হাফেজ আবদুল হক, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোহছেন শরিফ ও মরহুমের ছোট ভাই রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী।
রোববার (০২ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহিরপাড়া গ্রামের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী। তিনি রামুর বিশিষ্ট জমিদার মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগরের সপ্তম ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। কয়েক দিন ধ'রে অসুস্থ ছিলেন। স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মুফতি মুর্শিদুল আলম।
মুফতি মুর্শিদুল আলম বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের জাতীয় মজলিশে শুরা সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা তাবলিগ জামাতের আমির। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ মুফতি ছিলেন তিনি। তাবলিগ জামাতের দাওয়াত প্রচার করতে গিয়ে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন মুফতি মুর্শিদুল।
দীর্ঘদিন ধরে রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। মাদরাসা জামে মসজিদে মৃত্যুর আগের দিন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা এবং দুদিন আগে পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেছেন মুফতি মুর্শিদুল আলম।