কক্সবাজার: কক্সবাজারে পুলিশের গু'লিতে নিহ'ত সেনাবাহি'নীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ময়'নাতদ'ন্ত প্রতিবে'দন র্যাবের কাছে জমা দিয়েছে পুলিশ। রবিবার কক্সবাজার সিভিল সা'র্জনের মাধ্যমে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার র্যাবের কাছে প্রতিবেদ'নটি জমা দেন।
নির্ভরযোগ্য সূ'ত্রে জানা গেছে, ময়নাতদ'ন্ত প্রতিবে'দনে বলা হয়েছে– খুব কাছ থেকে সিনহাকে গু'লি করা হয়। তাকে তিনটি গু'লি করা হয়েছে। তিনটি গু'লি তার দেহে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে গেছে। এ কারণে তার শরীরে গুলির চি'হ্ন ৬টি পাওয়া গেছে।তিনটি গু'লির একটি সিনহার বাম বুকে, একটি বাম হাতের বাহুতে অন্যটি বুকে।প্রতিবেদ'নে বলা হয়েছে– সিনহার গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আ'ঘা'তের একাধিক চি'হ্ন রয়েছে। অতিরি'ক্ত র'ক্তক্ষ'রণে তার মৃ'ত্যু হয়েছে।
৭ জুলাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও শাহীন আবদুর রহমান ময়নাতদ'ন্ত শেষে প্রতিবেদ'নটি সিভিল সা'র্জনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বরাবর পাঠান। আজ পুলিশ সুপার সেটি সিনহা হ'ত্যার তদ'ন্তকারী র্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা।৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গু'লিতে নিহ'ত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভু'ক্ত করার আদেশ দেন।
পাশাপাশি র্যাব ১৫-এর কমা'ন্ডারকেও তদ'ন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আ'ত্মস'মর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।