কক্সবাজার: মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ১০ হাজার বাড়ীঘর পুড়ে যে রোহিঙ্গা শিবিরটি বিরান ভুমিতে পরিণত হয় সেখানে একটি কুঁড়ে ঘর সম্পূর্ণ অক্ষত থেকে গেছে। অলৌকিক ভাবে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পাওয়া সেই অক্ষত ঘরটি এখন এলাকার মানুষকে বিষ্মিত করেছে। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে গত সোমবারের সেই আগুন স্পর্শও করতে পারেনি ঘরটির বাসিন্দা বিধবা হালিমা বেগমকে (৪৬)। সেই অক্ষত ঘরটি দেখার জন্য এখন প্রচুর দর্শক ভীড় করছে।
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৯ নাম্বার রোহিঙ্গা শিবিরের এমন ঘটনাটি এখন সীমান্তবর্তী উখিয়া-টেকনাফ এলাকার মানুষের মধ্যে কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিসহ এলাকাবাসী এমন ঘটনাটিকে মহান সৃষ্টিকর্তার কেরামতি বলে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন৷
কুঁড়ে ঘরটির পাশে আগুনে পুড়ে যাওয়া জহুর আলম নামের এক রোহিঙ্গা পরিবার পরিজন নিয়ে নতুন করে বসতি গড়ে তুলার জন্য বাঁশ, গাছ, ত্রিপল দিয়ে ঘর তৈরী করছেন। তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, যে আগুন মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে কয়েক কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। সেই আগুন এই কুঁড়ে ঘরটি কেন স্পর্শ করতে পারল না তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
প্রতিবেশী রোহিঙ্গা জহুর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ঘরের গৃহকর্ত্রী হালিমা বেগম পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন ছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। আর ওই অবস্থায় বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার হুঁশ জ্ঞানও ছিল না। তিনি কেবল পবিত্র কোরআন পড়ছিলেন।
তবে এলাকার লোকজন এবং সংবাদকর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও ওই রোহিঙ্গা নারীর সাথে কথা বলতে পারেননি। তিনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে নারাজ বলে সাফ জানিয়ে দেন। ক্যামেরার সামনে আসতেও মোটেই রাজী নন। তবে অনেক চেষ্টা করে পর্দানশীন নারীর একটি ছবি ধারণ করতে পেরেছেন সংবাদকর্মীরা।