সংঘর্ষের সূত্রপাত রেশন কার্ড নিয়ে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের থামাতে গিয়ে। কক্সবাজারের টেকনাফে আজ রবিবার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, রেশন কার্ডের দাবিতে নয়াপাড়া ক্যাম্পে বিক্ষোভ শুরু করে একদল রোহিঙ্গা। বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। সেই সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। এতে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। সংঘর্ষে চার রোহিঙ্গা আহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘রেশন কার্ড জটিলতার সমাধান চেয়ে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ তাদের শান্ত থাকার কথা বলে। কিন্তু তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভকারী রোহিঙ্গারা ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে এসেছিল। তারপর শরণার্থী হিসেবে তাদের নিবন্ধন করে নানাভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকার।’
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (ক্যাম্প-২৫) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রেশন কার্ড নিয়ে আমার শিবিরের কিছু রোহিঙ্গা বিক্ষোভ করেছিল। পুলিশ তাদের শান্ত থাকার জন্য বলে। কিন্তু তারা সেটি অমান্য করে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশ সদস্য আহত হলেও কোনও রোহিঙ্গা আহত হয়নি।’
তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা নুর বশর বলেন, ‘রোহিঙ্গারা রেশন কার্ড জটিলতার সমাধান চেয়ে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন রোহিঙ্গা আহত হয়।’