কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গণধ'র্ষণের শিকার গৃহবধূ ও তার স্বামী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে তোলা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার পর তারা আদালত থেকে বের হয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের এসপি জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের (ভিকটিম নারী ও তার স্বামী) আদালতে তোলা হয়। তারা সেখানে আদালতকে ঘটনার বর্ণনা দেন। আদালতে তোলার আগে আমরা আমাদের মতো করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
এদিকে দলবদ্ধ ধ'র্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও এখনো (শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত) কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনা তদন্তে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কিন্তু ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ ওই নারীকে ধ'র্ষণের ঘটনার মধ্যে অনেক 'রহস্য' পাওয়া যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, তার (ভিকটিম নারীর) বক্তব্যের সঙ্গে স্বামীর বক্তব্যের মিল নেই।
গত কয়েক মাসের মধ্যে তারা বেশ কয়েকবার কক্সবাজার এসেছেন বলে তথ্য-উপাত্ত হাতে এসেছে। নানা হোটেল ও কটেজে তার অবস্থানের তথ্যও মিলেছে। একেক জায়গায় তার নাম একেকভাবে লিপিবদ্ধ করা। এ কারণে তাকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে পর্যটক বলা যাচ্ছে না।
মাসের ব্যবধানে এই নারীর একাধিকবার কক্সবাজার আসা এবং একেকবার একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার পেছনে অন্য রহস্য লুকিয়ে আছে। আমরা তাও খোলাসা করে জানার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, তিনি (নারী) যত রহস্যময়ী হোক- বুধবারের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।