শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৩:৫১

একজন ধ'রা পড়লে আরেকজন এগিয়ে আসে, সেই পর্যটক গৃহবধূ ধ'র্ষণের অজানা ত'থ্য!

একজন ধ'রা পড়লে আরেকজন এগিয়ে আসে, সেই পর্যটক গৃহবধূ ধ'র্ষণের অজানা ত'থ্য!

কক্সবাজারে ধ'র্ষ'ণের শি'কার পর্যটক গৃহবধূ আদালতে জবানব'ন্দি দিয়েছেন। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে জবানব'ন্দি দেন তিনি। গতকাল বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক রুহুল আমিন। এদিকে সিসিটিভি ফু'টে'জ দেখে ধ'র্ষ'ণে জ'ড়িত তিন যুবককে র‌্যাব শ'না'ক্ত করলেও গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গ্রে'ফতার অভি'যান চলছে বলে জানায় পুলিশ।

বুধবার ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধ'র্ষ'ণের শি'কার হয়েছেন বলে অভি'যোগ পর্যটক গৃহবধূর। স্বামী-সন্তানকে জি'ম্মি করে হ'ত্যার ভ'য় দেখিয়ে তাকে ধ'র্ষ'ণ করেন তিন যুবক। জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে ওই দিন রাত দেড়টার দিকে তাকে উ'দ্ধার করে র‌্যাব। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে

ওয়ানস্টপ ক্রা'ইসি'স কক্ষে পা'ঠানো হয়। এ ঘট'নায় জিজ্ঞা'সাবাদের জন্য হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (৩৩) আ'ট'ক ও স্বামী-সন্তানকে উ'দ্ধার করে র‌্যাব। সিসিটিভির ফু'টে'জ দেখে জ'ড়িত তিনজনকে শনা'ক্ত করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘ'টনার পর দিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর স্বামী কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা আশিকুল ইসলাম আশিক,  ইসরাফিল হুদা জয়, মেহেদি হাসান বাবু নামে তিন যুবক ও হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনের নাম উ'ল্লেখ করে অ'জ্ঞা'ত আরও তিনজনের বিরু'দ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মা'মলা করেন। মা'মলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশকে ত'দন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের তথ্যা'নুযায়ী অভিযু'ক্ত আশিক ও জয় চি'হ্নি'ত ছি'নতা'ইকা'রী। আশিকের বিরু'দ্ধে ১৬টি আর জয়ের বিরু'দ্ধে দুটি মা'মলা রয়েছে। আশিক একাধিকবার গ্রে'ফতার হয়ে জে'ল খে'টে'ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ অ'পরা'ধী 'ক্রের মূল হো'তা আশিক। তার নেতৃত্বে রয়েছে ৩০ জনের একটি অপ'রাধী চ'ক্র। তারা বিভ'ক্ত হয়ে কখনো দলব'দ্ধভাবে চু'রি, ছিন'তাই, খু'নসহ নানা অপ'রাধ করে বেড়ায়। একজন ধ'রা পড়লে আরেকজন এগিয়ে গিয়ে র'ক্ষা করে। চু'রি-ছি'ন'তাইয়ের মা'মলায় কয়েক মাস আগে আশিক গ্রেফ'তার হয়। সম্প্রতি জেলা কারাগার থেকে মু'ক্তি পেয়েছেন তিনি। তাকে গ্রে'ফতার করলেই সব ত'থ্য বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, ধ'র্ষণের শি'কার ওই নারী গত দুই মাসে তিনবার কক্সবাজার এসেছেন বলে দা'বি করেন। তার সঙ্গে অভিযু'ক্তদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, ধ'র্ষণের ঘটনায় এক অভিযু'ক্ত ওই নারীর পূর্বপরিচিত। ধ'র্ষ'ণের শি'কার নারীর ১৬৪ ধারায় জবানব'ন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামিদের আ'টকের চেষ্টা চলছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে