এমটি নিউজ ডেস্ক : টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত দর্শনীয় এলাকাগুলোতে ভ্রমণকারীদের উপস্থিতিও বেশ লক্ষ্যণীয়। গত দুইদিন ধরেই পর্যটকের এমন ভিড় লেগে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের ছুটিসহ সপ্তাহিক দুইদিনের ছুটিতে পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়।
সমুদ্র সৈকতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সমুদ্র স্নান, মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ, সূর্যাস্ত দেখাসহ আনন্দমুখর সময় কাটাচ্ছেন ভ্রমণকারীরা। সাগর পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী, কলাতলী ও কবিতা চত্বর বিচ পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা দেখা গেছে।
শুক্রবার সৈকতে দেখা গেছে, বহু সংখ্যক ভ্রমণকারী ভিড় জমিয়েছেন বালিয়াড়িতে। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আকতার উদ্দিন দম্পতি জীবনের প্রথম বার এসেছেন কক্সবাজারে। ব্যবসায়ী আকতার বলেন, ‘এই প্রথমবার এসে কক্সবাজারকে দেখলাম। এক সঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ আর দেখিনি। সৈকতে এত বেশি মানুষ দেখে মনে হচ্ছে এটা ঢেউয়ের সমুদ্র নয় যেন মানুষের সমুদ্র। ’
নারায়ণগঞ্জের হোসাইন আহমদ বলেন, ‘এতদিন করোনার কারণে ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছি। সাগর পাড়ে এসে মনে হচ্ছে, এখন আমরা মুক্ত পাখির মতো ওড়ছি আর ঘুরছি। ’
সৈকতের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আশানুরূপভাবে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। এতদিন ধরে পর্যটকের ভিড় কম থাকায় ব্যবসায়ীদের জীবন ধারণেও অনেক কষ্ট হয়েছে। পর্যটকের আনাগোনা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা এখন স্বস্তিতে রয়েছেন বলে তারা জানান। ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে লোকজন তেমন ঘরের বাইরে যেতে চায় না। এ কারণে রমজানের আগেই যে যার মতো করে ভ্রমণ করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন টুয়াকের সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, টানা তিনদিনের ছুটিতে বহু সংখ্যক পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেলের প্রায় ৭০/৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে সপ্তাহ আগে থেকেই।
হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, আজ শনিবার পর্যন্ত হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস বুকিং রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সিভিল এবং পোশাকধারী পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে।