কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার সদর থানা সংলগ্ন পোস্ট অফিস সড়কে এক তরুণীর ছু'রিকাঘা'তে এক রিকশাচালক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আটক তরুণীর দাবি, তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে আছেন। রিকশাচালক কটূ'ক্তি করায় তাকে ছু'রিকাঘা'ত করেছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই তরুণী কোনো কথা না বলেই রিকশাটি দাঁড় করিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশাওয়ালাকে ছু'রিকাঘা'ত করেন।
হামলাকারী তরুণী পাপড়ি ঘোষ (২৬) শহরের ঘোনার পাড়ার (৯ নম্বর ওয়ার্ড) শংকর ঘোষের মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম পলিটেকনিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। আহত রিকশাচালক মো. সরওয়ার (৩৭) রামু উপজেলার চাকমারকুলের পূর্ব মোহাম্মদ পুরের মৌলভি শাহজাহানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রিকশাচালক একজন নারী যাত্রী নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে এক তরুণী রিকশার সামনে এসে দাঁড়ান।
এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যাগ থেকে ছু'রি বের করে রিকশাচালকের পেটের পাশে ছু'রিকাঘা'ত করেন। পরে লোকজন ওই তরুণীকে ঘিরে ফে'লে এবং পুলিশকে ফোন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তরুণীকে ছু'রিসহ আটক করে এবং আহতকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
হামলাকারী তরুণী পাপড়ি ঘোষ জানান, তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে আছেন। এর মধ্যে রিকশাচালক তাকে কটূ'ক্তি করেছেন। তাই ছু'রিকাঘা'ত করেছেন। সঙ্গে ছু'রি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি চুপ ছিলেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, রিকশাওয়ালার কোনো দোষ নেই। তরুণীটি দেখতে ভালো পরিবারের ভদ্র-শিক্ষিত মনে হলেও তিনি মানসিকভাবে স্বাভাবিক না। তিনি কোনো কথা না বলেই রিকশাটি দাঁড় করিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশাওয়ালাকে ছুরিকাঘাত করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, হা'মলাকারী তরুণী মানসিকভাবে স্বাভাবিক নন।
তরুণী স্বীকার করেছেন, পারিবারিক কারণে মানসিক অ'বসাদে ভু'গছেন। এছাড়া রিকশাচালক তাকে কটূ'ক্তি করেছেন বলেও দাবি করেছেন। আহত রিকশাচালককে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কেন হামলা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।