কক্সবাজার : চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে নিয়ে একদল বখাটে নির্যাতন করায় দু'সন্তানের চিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এমন অমানসিক ঘটনাটি ঘটেছে জেলার মহেশখালীতে।
তার দু' শিশু সন্তানের কান্নাকাটিতেও রেহাই দেয়নি ওই বখাটের দল। স্থানীয়রা বখাটেদের মৌখিকভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হাতে পিঠে আঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় ফিশিং বোটের শ্রমিক মাহাবুব আলমের স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিনকে একই এলাকার আবু মুছার পুত্র সৈয়দ করিম ও মোস্তাকের পুত্র নাছির উদ্দীন গত এক বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং বারবার তাকে কুপ্রস্তাব দিত।
এতে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বখাটেরা। একপর্যায়ে সৈয়দ করিমের বোনের থ্রি পিস চুরির অপবাদ দিয়ে সৈয়দ করিম, নাছির উদ্দিনসহ কয়েকজন বখাটে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে এনে উঠানে একটি গাছের সাথে গামছা পেঁচিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে ও মাথার চুল কেটে নেয়।
ফরিদা ইয়াছমিনের ছোট ২ শিশু সন্তানের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলেও বখাটে সৈয়দ করিম ও নছির উদ্দিনসহ তাদের সহযোগীরা ছোরা দিয়ে গৃহবধূর হাতে ও পিঠে আঘাত করে।
এলাকাবাসীকে তারা উল্টো হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা নির্যাতনের শিকার ফরিদা ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
কতুবজোম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন নির্যাতনের শিকার ফরিদা ইয়াছমিনের মাতার চুল কেটে নেয়া ও শারীরিক নির্যাতনের সত্যতা নিশ্চিত করে ভিকটিমকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দিদারুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকে জানান, গৃহবধূর মাথার চুল ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি তিনি জানে না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম