বিয়ের গয়না নিয়ে পালাল বড় ভাই, থানায় বর, কনের মাথায় হাত!

কক্সবাজার : কনের বাড়িতে বরযাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন বর।  কিন্তু মহা ঝামেলায় ফেললেন বরের বেরসিক বড় ভাই।  পথিমধ্যে বিয়ের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালালেন তিনি।  নিরুপায় হয়ে বর কনের বাড়ি না গিয়ে হাজির হন থানায়।  এ খবরে মাথায় হাত কনের!

 
আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ জুলাই রোববার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বড় মহেশখালী দেবেঙ্গা পাড়া এলাকায়।

বরের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গা পাড়া গ্রামের আবু ছিদ্দিকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুস সালামের সঙ্গে একই উপজেলার হোয়ানক বড়ছড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে জিয়াসমিন আক্তার মুন্নীর  বিয়ের দিন ধার্য ছিল রোববার।

পূর্বনির্ধারিত সময়ে দুপুরে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বরযাত্রী।  কিন্তু পথিমধ্যে বরের বড় ভাই ফরিদুল আলম বোনের হাতে থাকা স্বর্ণালঙ্কারের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান।  

ব্যাগে ১০ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ টাকার চেক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।  অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত থানায় হাজির হন বর।  থানায় বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে বাসায় ফিরে যান বর।  বড় ভাইয়ের এমন কাণ্ডে হঠাৎ থেমে যায় বিয়ের সানাই।

অন্যদিকে বরের অপেক্ষায় থাকা কনেও এমন খবরে ভেঙে পড়েছেন।  কনের বাড়িতেও সমানভাবে প্রভাব পড়ে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায়।

কনের পারিবারিক সূত্র জানায়, কনে জিয়াসমিন আক্তার ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন উপজেলার হোয়ানক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ২০১৩ সালে প্রতিবেশী বখাটে ছেলের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার মা ও তাকে মেরে রক্তাক্ত করে এবং তার বাবার হাতও ভেঙে দিয়েছিল বখাটেরা।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা এখনো বিচারাধীন। সম্প্রতি বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ কন্যাদায়গ্রস্ত বাবা মেয়েকে মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুস সালামের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।   

৩১ জুলাই শুক্রবার মহেশখালী থানায় হাজির হয়ে বরের মা নূর জাহান ও বোন মোতাহেরা বেগম দাবি করেন, বড় ভাই ফরিদ অভিমানের প্রতিশোধ নিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  বড় ভাই এ বিয়েতে অভিমান করছিল।  বোন মিলে বড় ভাইকে বিয়েতে কেনাকাটা করার সময় রাজি করায়।  ফরিদুল অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের ব্যাগটি নিয়ে যায় বলে জানান তারা।

বর আব্দুস সালাম বলেন, শুভ কাজে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এমন কিছু কখনোই আশা করিনি।  বিয়ের স্বর্ণ ছিনতাই করে পরিবারের মানসম্মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছেন তিনি।  তার বিরুদ্ধে থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।  পুলিশ ছিনতাই হওয়া স্বর্ণলঙ্কার উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।  
১ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এমএস