শুক্রবার, ০৫ আগস্ট, ২০১৬, ১১:২০:১৯

প্রেমিকের বিয়ের আসরে প্রেমিকা, কনেকে ফেলে পালাল প্রেমিক

প্রেমিকের বিয়ের আসরে প্রেমিকা, কনেকে ফেলে পালাল প্রেমিক

কক্সবাজার : প্রেমিকের বিয়ের আসরে পুলিশ নিয়ে হাজির হন প্রেমিকা।  এ নিয়ে পুলিশ ও বরপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

কক্সবাজারের রামুতে প্রেমিকার অভিযোগে কমিউনিটি সেন্টারে বাল্যবিয়েতে বাধা দেয়ায় শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ম্যারেজ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ চলাকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  এসময় বর আবুল কালামসহ (২৬) বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
   
বাল্যবিয়ে পণ্ড করে কনে পক্ষকে অর্থদণ্ড দেয় উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ টেকপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।

বিয়ে চলাকালে আবুল কালামের প্রেমিকা রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের পানিরছড়া হরিতলা এলাকার মোস্তাক আহাম্মদের মেয়ে কুলসুমা আকতার রামু থানায় অভিযোগ করেন।  অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবীব ফোর্সসহ কমিউনিটি সেন্টারে যান।

এসময় বরপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।  আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ফাঁকা গুলি বর্ষণ নিক্ষেপ করে।

ঘণ্টাব্যাপী পুলিশ-জনতা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেগম সেলিমা কাজী ও রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রেমিকা কুলসুমা আকতারের করেন, আবুল কালামের সঙ্গে তার দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক।  গত এক মাস আগে হঠাৎ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কালাম।

পরে কালাম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অপ্রাপ্ত কিশোরীকে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে আসে।  খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন কুলসুমা।
    
রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, কুলসুমা আকতারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম সেলিমা কাজী জানান, বাল্যবিয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ।  বাল্যবিয়ের অপরাধে কনে পক্ষকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুনেছি, কালাম নামে ওই যুবকের সঙ্গে কুলসুমা আকতার নামে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
৫ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে