হবিগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জের বানিয়াচং সদরের উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বয়স্কদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রোববার বিকালে স্থানীয় তকবাজখানি মাঠে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সাহসী ভূমিকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় সদর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পার্শ্ববর্তী রঘুচৌধুরী রবিদাশ পাড়ার লোকদের অন্তত ২০টি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ওইপাড়ার দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজ ঘরে জিম্মি অবস্থায় চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় সময় কাটান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তকবাজখানি মাঠে ৪৩ ঊর্ধ্ব বয়স্ক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহারসহ স্থানীয়রা। রোববার মিনাট ও তকবাজখানির মধ্যে খেলা ছিল। মিনাট গ্রামের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান ইউপি সদস্য ইনছাব আলী ও তকবাজখানি গ্রামের অধিনায়ক ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
খেলায় একটি গোলকে কেন্দ্র করে উভয় দলের খেলোয়াড় ও দর্শকের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ক্রমেই সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে থানার অপারেশন অফিসার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ কাঁদানি গ্যাস ছুঁড়লে গ্যাসের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী খড়-কুটায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, ফরিদ উল্লাহ, আবদুল ওয়াদুদ, ফারুক আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান ও প্রভাষক খায়রুল বাশার সোহেলের নেতৃত্বে শতাধিক আলেম-ওলামা 'নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার' স্লোগান দিয়ে উভয়পক্ষের মাঝামাঝি অবস্থান নেন। এ সময় সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালে উভয়পক্ষ পিছু হটে যায়।
৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি