হবিগঞ্জে থেকে: হবিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় পাগলা কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থী, নারী, শিশুসহ ২৭ জন।
তাদের হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর নিধনের ব্যাপারেও উদাসীন পৌর কর্তৃপক্ষ।
সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. বজলুর রহমান জানান, রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট ২৭ জন সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালে পর্যাপ্ত ইনজেকশন না থাকায় অধিকাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে তা আনতে হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো ডাক্তার, নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মারাত্মকভাবে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রায় এলাকায়ই কুকুর পথচারীদের ধাওয়া করে। বিশেষ করে রিকশা বা মোটরসাইকেল দেখলে তো আর উপায়ই নেই। পেছনে দৌড়াতে শুরু করে।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শহরের ইনাতাবাদ, শায়েস্তানগর এড়ালিয়া সড়ক এবং শহরতলীর বড়বহুলা, তেঘরিয়া, পইল, এড়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার মোট ২৭ জনকে কামড়েছে।
নারী, শিশুরাও রেহাই পায়নি কুকুরের কামড় থেকে।
আহতরা হচ্ছেন:-
হিরেন্দ্র দেব (৬০),
মানিক চান (৭০),
রাহুল (১৩), সিফাত (৬),
নাদিয়া (২),
রিফা আক্তার (১০),
আব্দুল করিম (৫৫),
নানু মিয়া (৩৫),
রবিউল (১০),
সুজন (৩০),
তানহা (৫),
সানিয়া বেগম (৬৫),
তোফাজ্জল (৬০),
মোর্শেদা (১২),
তোহা (২৪),
করিমন (৩৫),
জাহেরা আক্তার (১১),
মনির (১২),
খেলু মিয়া (৬),
জাবের আহমদ (২০),
রজব আলী (৩৫),
রিফা (১৮),
আনোয়ারা বেগম (৪৫) ও
শিমু বেগম (১৫)।
২৭ জনকে পাগলা কুকুর কামড়েছে শুনে চমকে উঠেন হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাশ।
তিনি জানান, কিছু দিন পূর্বে পৌর কর্তৃপক্ষ ২৭০টি পাগলা কুকুর মেরেছে। বছরে এভাবে দুইবার কুকুর নিধন অভিযান চালানো হয়।
পরিষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি আবারো দ্রুত পাগলা কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে