হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় হাজী ওমর আলী (৬৫) হত্যার রহ'স্যজট খু'লতে শুরু করেছে। গ্রেপ্তার করা দুজন আসামি আদালতে জবানব'ন্দি দিয়েছেন। তাতে দাবি করা হয়েছে, সম্পত্তির মালিক হওয়ার লো'ভে ওমর আলীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে এ হ'ত্যার পরি'কল্পনা করেন। এরপর ওমর আলীকে গলা'কে'টে হ'ত্যার পর ম'রদে'হ নদীতে ফে'লে দেয়া হয়। ম'স্তক অন্যত্র ফেলে পিতা নি'খোঁ'জের জিডি করেন কাউছার আহমেদ নিজেই।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আলোচিত হ'ত্যা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানান। এদিন আজমিরীগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব আহমেদ তালুকদারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দুই আসামি মনির আহমেদ (৩০) ও সুফিয়া খাতুন (৫৫)। সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভার নয়াগ্রাম এলাকার এমাদ উদ্দিনের ছেলে মনির আহমেদ নিহ'তের ছেলে কাউছার আহমেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গ্রেপ্তারকৃত সুফিয়া খাতুন বিয়ানীবাজার থানার কালাইউড়া গ্রামের মৃ'ত জুবেদ আলীর স্ত্রী। তিনি অন্য আসামি মনিরের শাশুড়ি।
পুলিশ সুপার জানান, ৬ জানুয়ারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা কাউছার আহমেদ থানায় একটি জিডি করেন। বাবা হাজী ওমর আলী নিখোঁজ হয়েছেন বলে তিনি জানান। এমসি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত কাউছার আহমেদ দাবি করেন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে তার বাবা ওমর আলীকে খুঁ'জে পাওয়া যাচ্ছে না।
জিডির তদন্ত করতে গিয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই মোহাম্মদ আবু হানিফ বিভিন্ন সময় ছ'দ্মবেশ ধার'ণ করেন। তিনি জানতে পারেন জিডি করার পর থেকেই ওমর আলীর ছেলে কাউছার গরু বিক্রি করছেন। একই সাথে তিনি পিতার জায়গা-সম্পত্তির কাগজপত্র হা'তিয়ে নিচ্ছেন। এতে পুলিশের স'ন্দে'হ হয়।
এদিকে গত ২১ জানুয়ারি বিয়ানী বাজার থানা পুলিশ সোনাই নদী থেকে মা'থাবি'হীন একটি ম'রদে'হ উ'দ্ধার করে। তা ওমর আলীর বলে শনাক্ত হলে ভাই নায়েব আলী বাদি হয়ে একটি হ'ত্যা মামলা দায়ের করেন আদালতে। এ মামলায় আসামি করা হয় নিহ'তের ছেলে কাউছার আহমেদ (২০), স্ত্রী পিপি বেগম (৫৫), কন্যা মমতা বেগম (৩০), ছেলে আল-আমিন (২৫) ও ভাতিজা সাদেক মিয়াকে (৪৫)। আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ নানাভাবে নিশ্চিত হয় কাউছার আহমেদ বিয়ানী বাজারে নিয়ে নিজ পিতাকে হ'ত্যা করেছেন সহযোগী মনিরসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে। তদন্তের এ পর্যায়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে জকিগঞ্জ থেকে মনির ও তার শাশুড়ি ছুফিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা দুজই বুধবার ঘটনার দা'য় স্বী'কার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে কাউছার নিজ পিতাকে হ'ত্যার পরি'কল্পনা করে। প্রাথমিকভাবে মনিরকে ৫ হাজার টাকা দেন তিনি। এরপর কয়েকজন মিলে মনিরের শ্বশুর বাড়ি বিয়ানীবাজারের কালাইউড়া গ্রামে একটি জ'ঙ্গলে নিয়ে গলা কে'টে হ'ত্যা করা হয় ওমর আলীকে। নদীতে ম'রদে'হ ফেলা হলেও ম'স্তক 'ফে'লা হয় অন্যত্র।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন,'প্রধান অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেপ্তারে অ'ভিযা'ন চলছে। মামলার অন্য ৫ আসামিসহ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত তা ত'দন্ত করে দেখা হচ্ছে।'