শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৯:১৪:২৯

বিয়ে না করেই সহকর্মী শিক্ষিকাকে তালাক, অতপর...

বিয়ে না করেই সহকর্মী শিক্ষিকাকে তালাক, অতপর...

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন (৫৬) বিয়ে বা কোনো ধরনের সম্পর্ক না থাকার পরও তারই এক সহকর্মী কোহিনুর আক্তার নামে এক সহকারী শিক্ষিকাকে নোটারী পাবলিকের নিকট এ্যাফিডেভিট মুলে তালাক প্রদান করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার করে। 

অপরদিকে প্রতারণার শিকার হয়ে সামাজিকভাবে নিগৃহীত ওই শিক্ষিকা গত সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এফআইআর গণ্যে রুজু করার আদেশ দিলে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ শুক্রবার আনোয়ার হোসেন নামে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। শিক্ষিকা কোহিনুর আক্তার বিধবা ও তার এক মেয়ে বিবাহিত। ৫ মাস আগে আনোয়ার হোসেন নোটারী পাবলিকের নিকট এ্যাফিডেভিট করে কোহিনুর আক্তারকে তালাক দেন।

অথচ তাদের মাঝে কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। এ্যাফিডেভিট এর কপি আনোয়ার হোসেন এর স্ত্রী কোহিনুর আক্তারের নিকট দিয়ে তার স্বামীকে যাতে হয়রানি না করা হয় তার জন্য হুঁশিয়ারি দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আনোয়ার হোসেনকে শোকজ দিলে তিনি তার জবাবে বলেন, তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ ও সন্দেহ প্রবণ। স্ত্রীকে বুঝ দিতেই এ্যাফিডেভিট করে স্ত্রীর হাতে এনে দিয়েছিলেন।

এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে সম্প্রতি স্কুলের ম্যানিজিং কমিটি তাকে সাময়িক বহিস্কার করে। রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবাহ ছাড়াই একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষিকাকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। একজন মৌলভী শিক্ষকের কাছ থেকে যেখানে ছাত্র ছাত্রীরা সুপথে চলার শিক্ষা পাবে সেখানে তিনি নিজেই এ ধরনের কাজ করায় বিধি মোতাবেক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, আদালতের আদেশে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে