হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে চার শিশু হত্যায় আটক পাঁচজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান। হত্যায় ব্যবহৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বাড়ির পাশে মাঠে খেলছিল চার শিশু। এরপর নিখোঁজ হয় তারা। নিখোঁজের চারদিন পর গত বুধবার ওই গ্রামের ঈসা বিল এলাকায় তাদের বালিচাপা মরদেহ পাওয়া যায়।
গ্রাম্য বিরোধের জেরে বাহুবলে চার শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশী আব্দুল আলী ও তার ছেলে জুয়েলকে আটক করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে আটক করা হয়। এরা হলেন রুবেল মিয়া, একই গ্রামের বশির মিয়া ও আরজু মিয়া।
হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পুলিশ।
এদিকে সন্ধ্যার পরও যখন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে না আসায় শিশুর অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কোথাও তাদের সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার রাতেই উপজেলার সর্বত্র মাইকযোগে নিখোঁজ সংবাদটি প্রচার করা হয়।
পরে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই চার শিশুর সন্ধান না পেয়ে জাকারিয়া আহমেদ শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিহত শিশুরা হল স্থানীয় আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটেকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটেকি মাদ্রাসার ছাত্র।
১৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম