শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৭:১৮:২১

যে কারণে চার শিশুকে হত্যা করে আলী

যে কারণে চার শিশুকে হত্যা করে আলী

হবিগঞ্জ : যে কারণে আব্দুল আলীর নেতৃত্বে চার শিশুকে হত্যা করা হয় তা জানালেন সিলেটের ডিআইজি মিজানুর রহমান।  ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেছেন, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যার সাথে আব্দুল আলী জড়িত।

তিনি বলেন, তার নেতৃত্বেই চার শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে বালিচাপা দেয়া হয়েছিল।  

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, মুক্তিপণ আদায় বা অন্য কোনো কারণ নয়, পূর্ব বিরোধের জের ধরেই আব্দুল আলী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

ডিআইজি বলেন, এরই মধ্যে চার শিশু হত্যার ঘটনায় আবদুল আলী (৬৫) ও তার ছেলে জুয়েল (৩০), রুবেল (১৮), আরজু (৪০) এবং বশির মিয়া (৪০) নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  তাদের মধ্যে আবদুল আলী ও জুয়েলকে বৃহস্পতিবার ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ গত মঙ্গলবার দায়ের করা অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আদালতে আবেদন করে।  পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।  অপহরণ কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও আটক করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, দুপুরে মাননীয় শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমিক জানিয়েছেন, এ চার শিশুর হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রইব্যুনালে নেয়া হবে। আমরা আশা করি, খব দ্রুতই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুফার জয়দেব কুমার ভদ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদুর কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিহত শিশুরা হল স্থানীয় আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটেকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।  তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটেকি মাদ্রাসার ছাত্র।
১৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে