চেয়ার আছে, লোক নেই
যশোর : চেয়ার আছে লোক নেই। ফাঁকাই থেকে গেল চেয়ারগুলো। শনিবার বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল মাঠে বাম মোর্চার সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও রোডমার্চ শহরে ঢুকতে না দেয়ায় সেখানে আর সমাবেশ হয়নি।
রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখি গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার রোডমার্চ বিকেল ৩টায় শহরের প্রবেশদ্বার ভাস্কর্যের মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। রোডমার্চ শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা মিছিলের চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রথমে ধাওয়া করে। এসময় লাঠিচার্জও করা হয়। তাদের যশোর বাইপাস দিয়ে খুলনার দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে রোডমার্চটি খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
রোডমার্চে অংশ নেয়া নেতারা জানান, বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সরকারি পরিকল্পনা বাতিল এবং সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করে।
রোডমার্চটি আগামী ১৮ অক্টোবর বাগেরহাটের কাটাখালী পৌঁছানোর কথা রয়েছে। রোডমার্চটি শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে গেলে পুলিশ তাদের এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে। এতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সুধাংশু চক্রবর্তী, বহ্নি শিখা, তমাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
শনিবার সকালে রোডমার্চটি রাজবাড়ী হয়ে মাগুরায় এসে পৌঁছলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক, ফকরুদ্দিন আজিজসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হন বলে দাবি করেন গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
পরে দুপুর ১২টায় রোডমার্চের গাড়িবহর মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শনিবার বেলা ২টা ৫০ মিনিটে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার রোডমার্চ যশোর শহরের প্রবেশমুখ পালবাড়ীতে গিয়ে পৌঁছায়।
সেখানে আগে থেকেই যশোর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেয়। রোডমার্চ শহরের বাইপাস সড়ক হয়ে চাঁচড়া অভিমুখে যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের পিছু নেয়।
এদিকে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা দাবি করেন, পুলিশ রোডমার্চে কোনো বাধা দেয়নি। বরং রোডমার্চে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বাইপাস সড়ক ধরে রোডমার্চটি খুলনার দিকে যাবে।
১৭ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম
�