নিউজ ডেস্ক : অচিরেই শুরু হচ্ছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের প্রশস্ততায় উন্নীতকরণের কাজ। সড়কটি জনস্বার্থে চার লেনে উন্নীত করতে কেটে ফেলা হবে রাস্তার পাশে থাকা ২ হাজার ৩শ' শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ। পরিবেশবিদদের দাবি, গাছ রেখেই সড়কের উন্নয়ন করা সম্ভব। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, জনপ্রতিনিধি ও সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়েই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বেনাপোর স্থলবন্দরকে যশোরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার শতবর্ষী বৃক্ষশোভিত ঐতিহাসিক যশোর রোড। ১৮৪০ সালে জমিদার কালীবাবু তার মায়ের গঙ্গাস্নানের জন্য যশোর থেকে কলকাতা পর্যন্ত তৈরি করেছিলেন এই নির্মাণ করেছিলেন এই সড়কটি। আর মায়ের নির্দেশ অনুযায়ী পথচারীদের সুবিধার জন্য সড়কের দুই পাশে রোপণ করেন অসংখ্য গাছ।
সম্প্রতি ঐতিহাসিক এ সড়কটি প্রশস্তকরণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য সড়কের দুই পাশে থাকা ২ হাজার ৩১২ টি শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেযা হয়েছে।
তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ পরিবেশবাদীরা। দাবি, শতবর্ষী গাছ রেখেই উন্নয়ন কাজ করা হোক।
এক পরিবেশবাদী জানান, ‘গাছগুলো বাঁচানো উচিৎ। এবং এই গাছগুলো বাঁচাতে গেলে যশোরে যারা পরিবেশবাদী কাজ করি, তাদের সবাইকে একসাথে প্রতিবাদ করতে হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘আমাদের এই সড়ক চলে গেছে কলকাতা। ওই পাশেও কিন্তু সড়কের গাছগুলো রেখেই প্রশস্ত করা হয়েছে রাস্তা।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ভালোমানের সড়ক করতে জন প্রতিনিধিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়েই এই কাজ করা হচ্ছে।
যশোরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানে একটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। টেন্পার অনুমোদনের পরপরই কাজটি শুরু হবে। পরবর্তীতে সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গাছ আমরা লাগিয়ে দেব।’
৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস