যশোর থেকে : যশোরের মণিরামপুরে একটি সেতুর অভা'বে দুর্ভো'গে পাঁচ গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর ঝুঁ'কি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় মুক্তেশ্বরী নদী পার হতে হয় তাদের। গ্রামের চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণেও চ'র'ম ভো'গা'ন্তিতে পড়তে হয়।
নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা আ'শ্বাস দেন সেতু নির্মাণের। কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলে প্রতিশ্রুতির আর খবর থাকে না, এমনই অ'ভিযো'গ গ্রামবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের নাউলী, গাবুখালি, প্রতাপকাটি, সুবলকাটি, কাটাখালি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে মুক্তেশ্বরী নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকোয়।
বছরের পর বছর ধরে একটি সেতুর অভাবে ভো'গা'ন্তিতে রয়েছেন তারা। সেতু না থাকায় বাধ্য হয়ে নদীর ভেঁড়ির উপর দিয়ে পায়ে হাঁটা পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে মনিরামপুর উপজেলা সদরে আসতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ভেঁড়ি কর্দমা'ক্ত হওয়ায় মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাইসাইকেল চালানো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে চ'র'ম দুর্ভো'গে পড়তে হয়।
নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিংকন বিশ্বাস জানায়, প্রতিদিন তারা ভ'য়ে ভ'য়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যায়। আবার বাড়ি ফেরার পথেও ভ'য়ে ভ'য়ে সাঁকো পার হয়। একই গ্রামের কৃষক প্রদীপ মল্লিক বলেন, জমির ফসল হাটে (বাজারে) বিক্রি করতি গেলি মেলা (কয়েক কিলোমিটার) ঘুরে যাতি হয়। এতি কইরে তাগের ভাড়া বাবদ ব্যয় বাইড়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গৌর চন্দ্র দে বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৭ সাল থেকে মাপমাপি হচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি। তবে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাবনা আকারে এলজিইডি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।