সিদ্ধার্থ সিধু, ঢাকা থেকে: যশোর জেলার ৮টি উপজেলার মধ্য মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় বাহিরে। এই দুই উপজেলার সাথে রেল যোগাযোগ নেই। সম্প্রতি নাভারন হতে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব খবর প্রকাশ হতেই এই দুই উপজেলার মানুষরা রেলপথ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে 'কেশবপুর-মনিরামপুরে রেলপথ চাই' শিরোনামে একটি পোস্ট ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। অসংখ্য মানুষ এই পোস্ট শেয়ার করে এই দাবি জানাচ্ছে। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
''সাগরদাঁড়ি নামে রেল গাড়ি আছে, এবার দাবি কেশবপুর-মনিরামপুরে রেলপথ চাই। নাভারন হতে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু, বসুন্দিয়া, যশোর, নাভারন হয়ে রেল সাতক্ষীরা যাবে। বসুন্দিয়া হতে নাভারনের দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। আবার নাভারন হতে সাতক্ষীরা ৪৮ কিলোমিটার। বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে ৯২ কিলোমিটার। কিন্তু যদি এই রেলপথটি পরিবর্তন করে বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মাণ করা যায়, তবে বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার। দুরত্ব কম হবে (৯২-৪৯ ) =৪৩ কিলোমিটার।
সব মিলিয়ে যেটা দেখা যাচ্ছে যে, রেলপথটি বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মাণ করা হয়- তবে নাভারন হতে সাতক্ষীরা পথের চেয়ে মাত্র ১ কিলোমিটার বেশি রেলপথ নির্মাণ করতে হবে। অতিরিক্ত কোন অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র সমীক্ষা ব্যয়টুকু বেশি হবে। এতে করে যশোরের সবকটি উপজেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এই দাবিটি আমরা কি আমরা করতে পারিনা?''
বিষয়টি নিয়ে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ বলেন, এই দাবি এখন কেশবপুর ও মনিরামপুরবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কণ্যা প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এলাকার মানুষের অনুরোধ রেলপথটি যেন বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর ও মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়।