ঝালকাঠি থেকে: নিজের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে আন্তর্জাতিক পুরস্কাপ্রাপ্ত ঝালকাঠির সাহসিকা শারমিন আক্তার তার মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।
রোববার ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান শারমিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
শারমিন তার দাদি গোলেনূর বেগমের সঙ্গে আদালতে আসে। আদালতে দাঁড়িয়ে শারমিন ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বর্ণনা দেয়। আগামী ৫ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওই আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল জানান, শারমিন আদালতে বলেছে, নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তার মা রাজাপুরের বাসা থেকে খুলনায় নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় মায়ের কথিত প্রেমিক স্বপন খলিফার কক্ষে রাতে শারমিনকে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তার মা।
তিনি জানান, ৭ আগস্ট শারমিন কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে রাজাপুর চলে আসে। ১৬ আগস্ট সেখান থেকে পালিয়ে শারমিন তার সহপাঠী নাদিরা আক্তারের বাসায় যায়। দু’জন মিলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় রাজাপুর থানায় গিয়ে মা ও তার কথিত প্রেমিক স্বপন খলিফার বিরুদ্দে মামলা করে।
আদালতের কাঠগড়ায় স্বপন খলিফা উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে শারমিনের মা হেনোয়ারা বেগম অনুপস্থিত ছিলেন। এ দু’জনই জামিনে রয়েছেন।
শারমিন রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি এলাকার প্রবাসী কবির হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে সে ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
অনন্য সাহসিকতার জন্য গত ৩০ মার্চ তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আন্তজাতিক সাহসী পুরস্কার (সেক্রেটারি অব স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল উইমেন কারেজ অ্যাওয়ার্ড) দেওয়া হয়।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/প্রতিনিধি