মোঃ আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের ঝালকাঠি-কাঁঠালিয়ার-আমুয়া-পাথরঘাটা সড়কের আমুয়া বন্দরের হলতা নদীর সেতুর দু’পাড়ের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণে জটিলতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উপজেলাবাসীর স্বপ্নের এ ‘আমুয়া সেতু’ কবে শেষ হচ্ছে এ প্রশ্ন এখন সবার। আগামি ৩০জুনের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। মোট ২৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে এ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। বর্তমানে সেতু নির্মাণের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ দ্রুত চলছে। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও জেমি অধিগ্রহণে ধীরগতিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে তাগিদ দিয়ে আসছে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম খান গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মাহফুজ খান জানান, জমি অধিগ্রহণেজণিত সমস্যা দূর হলে সেতুর শতভাগ নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে হবে বলে আশাবাদী।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে সেতুর ৬০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং দু‘পাড়ের আড়াই কি.মি. সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন। তবে জটিলতার কারণে এখনও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদেরকে নোটিশ প্রদান না করায় এ সংযোগ সড়কের কাজে বিলম্বিত হচ্ছে। জমির মালিক পক্ষকে দ্রুত সময়ে নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এটা সম্ভব হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতুটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এর ফলে রবগুনা জেলার সাথে ঝালকাঠির সড়ক যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস